জীবনের উপলব্ধি || 𝗨𝗻𝗱𝗲𝗿𝘀𝘁𝗮𝗻𝗱𝗶𝗻𝗴 𝗼𝗳 𝗟𝗶𝗳𝗲
বুঝতে বুঝতে ই অনেক দেরি হয়ে যায়……
বেশিরভাগ সময়েই জীবনের অনেক বিষয় দেরিতে উপলব্ধি করি। এই উপলব্ধি অর্জন করতে করতে আমাদের অনেক সিদ্ধান্ত এবং পছন্দ ব্যয় হয়ে যায়। এই পাঠগুলো আমাদের জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু শেখায় এবং প্রতিটি দিক সম্পর্কে খুব গভীর ও ভিন্নভাবে চিন্তা করতে পরিচালিত করে। তবে কখনও কখনও, সুযোগগুলো সারাজীবন থাকে না। যদি আমাদের যা থাকা উচিত তা উপলব্ধি করতে আমরা খুব দেরি করি, তবে এই সুযোগগুলো আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়।
যে বিষয় গুলো শিখতে বেশিরভাগ মানুষেরই দেরি হয়ে যায়——
১. ভীষণ পরিশ্রম করতে হবে
২. ঘৃণা আপনাকে পিছিয়ে দেবে
৩. সবকিছুরই চর্চার প্রয়োজন হয়
৪. ভারসাম্য জীবনের সবকিছু
৫. অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ
৬. বাস্তবতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ
৭. বিজয় অর্জন না হওয়া পযুন্ত অমরন কষ্ট করা
বিষয় গুলো বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে………
১. ভীষণ পরিশ্রম করতে হবেঃ
আপনি যদি জীবনে ভিন্ন কিছু অর্জন করতে চান তবে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সামান্য নয়, আপনাকে অন্য সবার চেয়ে ১০ গুণ বেশি পরিশ্রম করতে হবে। জ্ঞানার্জন করতে এবং লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে আপনাকে আনন্দের রাত ত্যাগ করতে হবে, অনেক সময় মনে হবে যে আর সম্ভব নয়, কিন্তু সেই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারলেই আপনি সফল হবেন।
২. ঘৃণা আপনাকে পিছিয়ে দেবেঃ
যখনই আপনি কোন কিছুকে ভয় পান, তখনই আপনি সেটি আরও ঘৃণা করতে শুরু করবেন। এবং তারপরে আসে হতাশা, রাগ, বিরক্তি ইত্যাদি। আপনার হৃদয়ের গভীরে জমে থাকা ভয়কে ত্যাগ করতে পারলে তা আপনাকে ঘৃণার ঊর্ধ্বে উঠতে সাহায্য করবে। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি প্রয়োজনীয়।
৩. সবকিছুরই চর্চার প্রয়োজন হয়ঃ
আপনি চর্চা না করলে কোনোকিছুই আয়ত্বে রাখতে পারবেন না। নিয়মিত চর্চা আপনাকে নিখুঁত করে তোলে। তবে এটি কখনোই অতিরিক্ত চাপ হিসেবে নেওয়া যাবে না। আপনি যদি আরও সহানুভূতিশীল বা ক্ষমাশীল ব্যক্তি হওয়ার চেষ্টা করেন তবে আপনার আবেগগুলোর অনুশীলনেরও প্রয়োজন। আপনার দৈনন্দিন অভ্যাস এবং অনুশীলন নির্ধারণ করে আপনি কে।
৪. ভারসাম্য জীবনের সবকিছুঃ
প্রতিটি মানুষের কর্মের পেছনে একটি উদ্দেশ্য লুকিয়ে থাকে। অন্যরা আপনার জীবনকে যত কঠিনই করে তুলুক না কেন আপনাকে নিজের যত্ন নিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি আবেগের ভারসাম্য বজায় রাখতে শেখেন এবং দেওয়া ও নেওয়ার শিল্প শেখেন, তাহলে জীবন আপনার জন্য মসৃণ হতে পারে। সব সময় শুধু দেওয়ার চেষ্টা করে নিজেকে ক্লান্ত করবেন না।
৫. অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণঃ
আবেগ এবং জীবনের বিভিন্ন জিনিসের অভিজ্ঞতা থেকে দূরে থাকবেন না। অভিজ্ঞতাই আপনাকে তৈরি করে। অভিজ্ঞতার সাহায্যে আপনি বড় হন, শেখেন এবং সম্পূর্ণ নতুন ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। যারা তাদের কমফোর্ট জোনের মধ্যে থাকে তারা জীবনের সারমর্ম-অভিজ্ঞতাগুলোকে অর্জন করতে পারে না।
৬. বাস্তবতা থেকে শিক্ষা গ্রহণঃ
জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত কে চ্যালেন্জ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নাম-ই সংগ্রাম। সমস্যা গুলো একেক জনের একেক রকম হতে পারে। তাই বাস্তবতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তার সঠিক সমাধানের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে হবে।
৭. বিজয় অর্জন না হওয়া পযুন্ত অমরন কষ্ট করাঃ
জীবনে যা-ই পেতে চান না কেন, আগে জানতে হবে আপনি ঠিক কি চান।
আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনার জীবনে কোন কাজটি করা সবচেয়ে জরুরী।
কিসের জন্য মানুষ আপনাকে মনে রাখবে – সেটা আপনার সিদ্ধান্ত।
যদি মনে হয় আপনি এখন যা করছেন – তা আপনার লক্ষ্যের সাথে মেলে না – সেটা বাদ দিয়ে এখনই লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করতে হবে। এখানে বয়স, শিক্ষা বা সামর্থ কোনও ব্যাপার নয়। আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে যে কোনও লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
জীবন বাজি রেখে কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে নিজের কাংখিত লক্ষ্য অবশ্যই অর্জন করতে হবে।
(𝑶𝒏𝒆 𝒎𝒖𝒔𝒕 𝒂𝒄𝒉𝒊𝒆𝒗𝒆 𝒐𝒏𝒆’𝒔 𝒅𝒆𝒔𝒊𝒓𝒆𝒅 𝒈𝒐𝒂𝒍 𝒃𝒚 𝒑𝒖𝒕𝒕𝒊𝒏𝒈 𝒍𝒊𝒇𝒆 𝒂𝒕 𝒔𝒕𝒂𝒌𝒆 𝒂𝒏𝒅 𝒘𝒐𝒓𝒌𝒊𝒏𝒈 𝒉𝒂𝒓𝒅.)
“ পৃথিবীতে যারাই বিশাল অর্জন করেছে, তাদের সবারই একটি বিশাল লক্ষ্য ছিল। তাদের চোখ ছিল এমন লক্ষ্যের দিকে – যার অবস্থান অনেক উঁচুতে; এমন লক্ষ্য যাকে ছুঁতে পারা অসম্ভব বলে মনে হত ”
– অরিসন মার্ডেন
(সাকসেস ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা, ও বিশ্বখ্যাত মোটিভেশনাল লেখক)
*কত আনন্দের রাত ত্যাগ করতে হচ্ছে এবং রাতের পরিশ্রম চলতেই থাবে জীবনের লক্ষ্যে না পৌঁছানো পযুন্ত।